রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলার এবার জামিন পেলেন তার শাশুড়ি আসামি নাজমুন নাহার নাজলী।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মনসুর আলম তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে দীর্ঘ ৮ মাস পলাতক থাকার পর গত ২০ অক্টোবর সিফাতের শ্বশুর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজান আত্মসমর্পণের পর জামিন পান।
অ্যাডভোকেট হামিদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজানের স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজলী। শুনানি শেষে বিচারক মনসুর আলম ১০ হাজার টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে তার পুত্রবধূ আড়াই বছরের এক সন্তানের জননী ওয়াহিদা সিফাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ঘটনার চার দিন পর সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় সিফাতের স্বামী মোহাম্মদ আসিফ ওরফে পিসলী, শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান ও শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলীকে আসামি করা হয়।
প্রথমে রাজপাড়া থানার উপপরির্দশক (এসআই) শরীফুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। রাজপাড়া থানা চাঞ্চল্যকর এই মামলায় তেমন কোনো অগ্রগতি করতে না পারায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলাটি পরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
সেখানেও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি অতি সম্প্রতি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সিফাতের স্বামী মোহাম্মদ আসিফ ওরফে পিসলী কারাগারে আটক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এসএস/এমজেএফ