ঢাকা: পরকীয়া প্রেমের জের ধরে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার হামিদা আক্তার হেলেনা হত্যা মামলায় প্রেমিক মোজাম্মেল ওরফে মেহেদি হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় দেন।
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামি আরিফা আক্তার লিঞ্জু ও কামাল হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটের বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামি মোজাম্মেল ওরফে মেহেদী হাসান মামলার ভিকটিম হামিদা আক্তার হেলেনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ২০১০ সালের ১৩ মার্চ তারা মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার পাঁচপীরের মাজার এলাকা থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় প্রথমে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। কয়েকদিন ঢাকা ও কক্সবাজারে কাটানোর পর আসামি মোজাম্মেল মামলার খবর জানতে পারেন। এরপর তিনি হেলেনাকে মাদারীপুরের শিবচর থানায় চররঘুনাথপুর গ্রামের শিকদার বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ভিটায় নিয়ে যান। সেখানে হেলেনার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পাশের কচুরীপানার ডোবার মধ্যে ফেলে পালিয়ে যান মোজাম্মেল।
এ ঘটনায় মাদারীপুরের শিবচর থানার বালাকান্দি গ্রামের চৌকিদার আব্দুল মান্নান সরদার বাদী হয়ে শিবচর থানার একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।
২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর শিবচর থানা পুলিশের এসআই ইউসুফ আলী ফকির ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা চলাকালে আসামি জোবায়ের হোসেন মারা যান।
পুলিশ মৃত হেলেনার মোবাইল ফোনের কললিস্ট সংগ্রহ করে আসামি মোজাম্মেলকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করলে তিনি আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। রায় ঘোষণার আগে আদালত ১৮ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শাহাবুদ্দিন ও লুৎফর রহমান জাহাঙ্গীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫/আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা
এমআই/আরএইচএস/আরএম