ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সুন্দরবন ঘুরে গেলেন ৮ দেশের পর্যটন প্রতিনিধি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
সুন্দরবন ঘুরে গেলেন ৮ দেশের পর্যটন প্রতিনিধি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাট: বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ঘুরে গেলেন বাংলাদেশসহ আটটি দেশের পর্যটন প্রতিনিধি দলের ১৭ সদস্য।
 
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট ঘুরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।


 
এর আগে বেলা ১১টা ২০মিনিটে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে মংলা নৌঘাঁটিতে পৌঁছান তারা।  
 
এ সময় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, বাগেরহাট পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা প্রমুখ তাদের স্বাগত জানান।
 
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই ও বেসামরিক বিমান পরিবহন-পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে সুন্দরবন পরিদর্শনে আসেন চীন, ভুটান, ভারত, কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের পর্যটন মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ১৭ সদস্যের একটি দল।
 
পরে, একটি ট্যুরিস্ট জাহাজে করে করে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের হারবাড়িয়ার পর্যটন কেন্দ্রে যান তারা। এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সুন্দরবনের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়েছেন।
 
প্রতিনিধি দলে থাকা বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পর্যটন মন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দৃঢ়ভাবে কাজ করছেন। আমরাও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবো। আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

তিনি আরো বলেন, গত দুই দিনে বাংলাদেশে আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই প্রীতিকর, যা আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে।
 
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঐতিহ্যকে রক্ষা করার সাথে সাথে এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশে অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষে মংলায় থ্রি-স্টার হোটেল, নির্মাণাধীন হযরত খানজাহান (রহ.) বিমান বন্দরের পাশে ফোর-স্টার হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কাজে বেসরকারি উদ্যোক্তারাও এগিয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
 
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বনের ভেতরে জাহাজ চলাচল, বাঘ হত্যা থেকে শুরু করে এই বিষয়গুলো বন ও পরিবেশ বিভাগের। এসব বিষয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করব।
 
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- কম্বোডিয়ার পর্যটন মন্ত্রী টপ সোফেক, আফগানিস্তানের পর্যটন মন্ত্রী আব্দুল বারী জাহানী, ভুটানের পর্যটন মন্ত্রী লিয়নপো নরভো ওয়াংচুক, চীনের পর্যটন সংস্থার পরিচালক লাই কোওয়ানগো, ভারতের পর্যটন সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক শ্রী ভেন্ট সঞ্জয়, ভিয়েতনামের পর্যটন সংস্থার পরিচালক জেনারেল তারান দিনহ তানহ, নেপালের রাষ্ট্রদূত আমপেমা চোডেন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহিম ওরাজ, বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী ও পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫ 
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।