ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধের বিচার

প্রশ্নবিদ্ধ করছে তিন সংগঠন ও এক সাংবাদিক

বাংলানিউজটিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
প্রশ্নবিদ্ধ করছে তিন সংগঠন ও এক সাংবাদিক ছবি: শাকিল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বিচারের মানের অনেক ওপরে উঠে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হচ্ছে। এতে অভিযুক্ত জামিন দেওয়াসহ নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এরপরও এ বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। যা করছে তিনটি সংগঠন ও একজন সাংবাদিক।
 
শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানী স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি)।
 
তুহিন আফরোজ বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানের অনেক ওপরে উঠে এ বিচার কাজ সম্পন্ন করছি। অভিযুক্তদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। কাউকে কাউকে জামিনও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তারা সংবাদ সম্মেলন করার সুযোগ পেয়েছেন। পৃথিবীর আর কোনো আদালতে এমন সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ এ বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এ ষড়যন্ত্র করছে তিনটি সংগঠন ও একজন সাংবাদিক। সংগঠনগুলো হলো- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও আল জাজিরা এবং ব্যক্তিটি হলেন- এদেশের প্রখ্যাত একজন আইনজীবীর মেয়ের জামাই।
 
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর অপরাধের জন্য ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার করা হয়েছিলো। সেখানে নাৎসিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা আগে নাৎসি বাহিনীকে নির্মূল করেছেন, তারপর বলছেন, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। আমরাও আগে নির্মূল করবো, তারপর মৃত্যুদণ্ড তুলে দেবো।
 
তুহিন আফরোজ বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নব্য হানাদার বাহিনী ও রাজাকারে পরিণত হয়েছে। একাত্তরে রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা যেভাবে কথা বলতো, সেই একই ভাষায় কথা বলছে সংগঠনটি। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের কথা বলে ঔদ্ধত্য প্রদর্শনও করছে।
 
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু তারা কতোটা স্বচ্ছ? তারা তাদের ওয়েবসাইটে ডোনারদের নাম উল্লেখ করে না। কাদের টাকায় তারা সংগঠন চালায়?
 
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, অ্যাডভোকেট এএম আমিনুদ্দিন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষক গবেষক ড. এমএ হাসান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মো. আবদুর রশীদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও রাত্রির নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার।
 
বৈঠকটির সঞ্চালনা করেন ড. জিনাত হুদা অহিদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এসএমএ/ইইউডি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।