ঢাকা: আমিন শি এ্যামি। চীনা নাগরিক হলেও ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে লিমিটেডে এ্যামির স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসিক কবীর এভাবে বর্ণনা দেন।
আসিক কবীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবীর এর ছোট ভাই। এ্যামি ও আসিক দু’জন ভারতের রাজধানী দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ভালো বন্ধু। ১৬ অক্টোবর রাতে নয়াদিল্লির সুলতানপুর উড়াল সেতুর টি পয়েন্টে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এ্যামি।
আসিক বলেন, এ্যামি বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ দু’টোকে ভালোবাসতেন। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তার জানার প্রবল আগ্রহ ছিল। তাই গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে জেনে যান বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে। ফিরে গিয়ে আগ্রহ দেখান, পৃথিবীর বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী অনুবাদের। দিল্লিতে অনলাইনে বইটির অর্ডারও দেন। কিন্তু যেদিন বইটি হাতে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন সেদিনই মারা গেলেন। সত্যি হেরে গেলেন এমন অকৃত্রিম বন্ধু।
অনুষ্ঠানে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, অল্প বয়সে আর আক্ষেপ নিয়ে চলে গেলেন এ্যামি। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাম্য নয়, সেটা যে দেশেই হোক।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, মেধাবী এ বন্ধুর মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। বয়স অল্প হলেও অন্তরে বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশের জন্য ছিল গভীর প্রেম, মমত্ববোধ। জাতির জনককে ভালোবেসে আত্মজীবনী অনুবাদের আক্ষেপ তার রয়েই গেল, হেরে গেলেন এ্যামি।
তিনি এ্যামির সহপাঠী ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে এ্যামির স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন ও দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আসিফ কবীর, সাংবাদিক রাহুল রাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
আরইউ/আরআই