ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আমরা যা বলি, তা করি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৫
আমরা যা বলি, তা করি

ঢাকা: দেশে গুপ্ত হত্যা খুন যাই করুক না কেন বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না কেউ এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গুপ্ত হত্যা করেছে, এদের লিংক, মুরব্বি, বড় ভাইদের খুঁজে শাস্তি দেবোই দেবো। এছাড়া যারা এসব ঘটাচ্ছে তাদেরও কোনো ছাড় নেই।

বিচার হবেই। আমরা যা বলি, আমরা তা করি।

সোমবার (০২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘০৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। সোয়া ৪টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।

যখনই দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায় তখনই অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার হত্যাকাণ্ড ঘটনো হচ্ছে। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াত। যারাই জড়িত দেশকে অস্থির করতে তাদের কেউই ছাড় পাবেন না। বিচারের আওতায় আসতেই হবে।

তিনি বলেন, দেশে সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, খুনের বিচার হবে। উন্নয়নে কেউ যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। শান্তি বিনষ্ট করার জন্য শাস্তি পেতেই হবে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেই মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই, আর কোনো ষযড়ন্ত্র চলবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতেই গুপ্ত খুন। তাদের বিচার বিনষ্ট করতেই এই কর্মকাণ্ড চলছে দেশে। কারণ জিয়াউর রহমান প্রথমে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। তারপর তার স্ত্রীও (খালেদা জিয়া) তাদের জাতীয় সংসদে জায়গা দেন।

বিদেশিসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের অঙ্গীকার করে সে জন্য দেশের মানুষের সহযোগিতাও চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি চায় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা চায় না দেশ এগিয়ে যাক। তারা চায় না এ দেশের মানুষ পেট ভরে খাক। তারা শুধু চায় এদেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরুক। গুপ্ত হত্যা খুন যাই করুক না কেন বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। যারাই গুপ্ত হত্যা করছে, এদের লিংক, মুরব্বি, বড় ভাইদের খুঁজে শাস্তি দেবোই দেবো।

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়া এখন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও মত দেন প্রধানমন্ত্রী।

বলেন, এখন তিনি বিদেশে বসে গুপ্ত হত্যা শুরু করেছেন। যাকেই ধরা হয়, তারা শিবিরের অথবা বিএনপির লোক।

বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ওনার পেয়ারে পাকিস্তানের পেয়ার তিনি আর ভুলতে পারেন না। এই জন্যই তিনি এসব করে যাচ্ছেন স্বাধীন বাংলাদেশে।

এ সময় মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৫
এমকে/আইএ

** উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে মানুষ ক্ষমা করবে না
** দেশে শান্তি এলে একজনের মনে অশান্তি শুরু হয়
** জিয়াউর রহমান খুনিদের পুরস্কৃত করেন
** ‘যারা স্বাধীনতা চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাকে হত্যা করেছে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।