জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সদরঘাটের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে যাত্রীদের হয়রানি করছে বলে উত্থাপিত অভিযোগ যথার্থ বলে স্বীকার করলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ইজারাদার প্রতিষ্ঠান চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নৌকার যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে ঢাকা-৭ এর সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রশ্নকর্তা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। মাননীয় মন্ত্রী আপনি এই সংসদে একদিন বলেছিলেন- ‘না, উপরে সদরঘাট ভেতরে সুন্দর ফিটফাট’। আপনি ইজাদির প্রথা বাতিল করার পর গত ৩/৪ বছর দক্ষিণ বঙ্গের লোকজনের কোনো অত্যাচার হয়নি, হয়রানি হয়নি। ইদানিং ইজাদারি প্রতিষ্ঠান ১৩ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে যাত্রীদের হয়রানি করছে। এ বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা চাই।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, হাজী সেলিম ও ফিরোজ সাহেবের এলাকার মাঝে সদরঘাট। তিনি যথার্থই বলেছেন। আমি তার সাথে একমত।
এ সময় মন্ত্রী ইজারাদারি প্রথার ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সদরঘাটে ইজাদারি প্রথা বাতিলের নির্দেশনা চেয়েছিলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কত টাকা আসে ইজারায়, তখন বিআইডব্লিউ’এর তথ্যমতে জানিয়ে ছিলাম ২ কোটি টাকা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২ কোটি টাকার চাইতে ২ কোটি মানুষের সেবা দেন।
এরপর ইজাদারি প্রথা বাতিল করি, তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপির এক সংসদ সদস্য বলেছিলেন উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। তার জবাবে আমি বলেছিলাম- ‘আগে ছিল কিন্তু এখন উপরে সদরঘাট ভেতরে সুন্দর ফিটফাট’।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী আরও বলেন, ইজাদারি প্রথা বাতিল করার পর ইজাদার প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। সেই আপিলের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ইজাদারি প্রথা চালু রাখার কথা বলেন। এরপর আমরা ইজারিদারি ব্যবস্থা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করতাম।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পুনরায় ইজারি ব্যবস্থা পরিচালনা করতে গেলাম তখন সাড়ে ৫ কোটি টাকা রিজার্ভ মানি। এই রিজার্ভ মানির জায়গায় প্রতিযোগিতায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে দিলাম। সেই ইজারাদার প্রতিষ্ঠান চুক্তি শর্ত অনুযায়ী কাজ করলো না। তারা নৌকার যাত্রীদের ৫০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ভাড়া নিতে শুরু করলো। চুক্তি ভঙ্গ করে জোর জুলুম করে টাকা আদায় করা শুরু করলো। এরপর আমি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেই, সেই তদন্ত কমিটির নির্দেশে আবার ইজাদারি প্রথা বাতিলে চেষ্টা করলাম, হাইকোর্ট আবারো ভ্যাকেট করলো। আমরা হাইকোর্টের ভ্যাকেট (স্থগিতাদেশ) বাতিলের চেষ্টা করছি। হাইকোর্ট যদি আদেশ স্থগিত করেন তাহলে ইজাদারি প্রথা আবার বাতিল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এসএম/এমজেএফ
** ট্রেডমার্ক (সংশোধন) বিল পাস
** প্যারিসবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে সংসদে নিন্দা প্রস্তাবের আহ্বান
** দুদকের তদন্তকারীদের বিরুদ্ধেই তদন্ত করা উচিত
** চলতি অর্থ বছরে নন-ক্যাডারে ৩৫১৯ জন নিয়োগ হবে
** ‘আগুন সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে’
** সরকারি ছুটি বাড়ানোর আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই
** ৩৭তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারিতে