ঢাকা: বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে ভারতীয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। সঙ্গে আরেকটি গাড়িতে ভারতীয় পরিদর্শক দলও রয়েছে।
রোববার(১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকটি। প্রথম ট্রাকটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস ডিএইচলের পণ্য বহন করছে। যার অর্ধেক মালামাল বাংলাদেশের বাকিটা ভারতের ত্রিপুরার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএএন ছিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতের একটি ট্রাক বাংলাদেশ অতিক্রম করছে। ওই ট্রাক ছাড়াও আরেকটি গাড়িতে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসেছেন। যারা বাংলাদেশের স্থলবন্দর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পদ্ধতি, টোল, এক্সেল লোড, মহাসড়কের স্পিড লিমিট ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করবেন।
এজন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও পর্যাপ্ত সহযোগিতা করবেন–বলে উল্লেখ করেন সচিব।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী এই চারটি দেশের মধ্যে তিন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
গত ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে চার দেশের মধ্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে একটি চুক্তিতে সই করেন পরিবহন মন্ত্রীরা।
এর আগে ৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে যানবাহন চলাচলে ‘বিবিআইএন মোটর ভেহিকল অ্যাগ্রিমেন্ট (এমভিএ)’ সইয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সেতু সচিব বাংলানিউজকে আরও জানান, খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে একটি টিম পণ্যবাহী ট্রাক ভারত হয়ে ভুটান পর্যন্ত যাবে। এসময় বাংলাদেশের কর্মকর্তারাও পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের কাস্টমস ও কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে সেগুলো জেনে আসবেন।
এরপর ‘চার দেশের ‘ফ্রেন্ডশিপ মোটর র্যালি’ ১৪ নভেম্বর ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশের ভুবনেশ্বর থেকে শুরু হয়ে বিহারের রাঁচি, পাটনা, নেপালের কাঠমান্ডু, বিরাটনগর, ভুটানের ফুয়েন্টসোলিং, থিম্পু, ভুমথাং, মঙ্গার, ভারতের আসামের গৌহাটি, শিলচর, ত্রিপুরার আগরতলা হয়ে ২৮ নভেম্বর আখাউড়া অথবা ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে।
মোটার শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসবে। ২৯ নভেম্বর ঢাকায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ঢাকা থেকে ভারতের কোলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করে শোভাযাত্রা বেনাপোল সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের কোলকাতায় গিয়ে শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
এসএ/পিসি