বগুড়া: সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সুস্থ শরীরে নামেন রানা সরকার। বাড়িতে ফোনও করেন তিনি।
নিহত রানা সরকার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের রিধইল গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রানার মৃতদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেয় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থানা পুলিশ।
বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গত ২৯ অক্টোবর রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামার পর রানা নিখোঁজ হন। এরপর সোমবার (২ নভেম্বর) বিমান বন্দর থানা পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, মৃতদেহের হাত-পায়ের রগ কাটা ও বাঁধা অবস্থায় ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে রানার মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। স্বজনরা মৃতদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
নিহতের বাবা আব্দুল হামিদ জানান, গত ২৯ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন রানা। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে বিমান বন্দর থানা পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর দেন তাদের। খবর পেয়ে তারা এসে রানার মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
এদিকে, ওসি কামাল উদ্দিন আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মশিউর রহমান সোমবার (২ নভেম্বর) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ০৪।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান শামীম ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, খবরটি শুনেছি। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছলে সবকিছু জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএইচএস/আরএম