ঢাকা: ২০১৫ সাল। চল্লিশ বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী।
যার ধারাবাহিকতায় বাদ যায়নি ঐতিহ্যবাহী চীনা খাবারের উৎসবও। আর এই উৎসবে যেমন শতকের বেশি খারাবের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনি রয়েছে রান্নার উপর কর্মশালাও। তাই চীনা খাবারের রকমফের দেখতে ও তা রান্নার কৌশল শিখতে ঘুরে আসতে পারেন ‘চীনা ফুড ফ্যাস্টিভাল-২০১৫’।
মঙ্গলবার(৩ নভেম্বর) রাতে হোটেল সোনাগাঁওয়ে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়েই উদ্বোধন করা হলো এই ফ্যাস্টিভাল। যা আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
উৎসবের আয়োজন দেখে বাংলাদেশেই হচ্ছে কি না তা বোঝার উপায় নেই। ভ্যানুর মূল প্রবেশদ্বার বানানো চৈনিক শিল্পকর্মের মাধ্যমে। বিছানো হয়েছে লাল গালিচা। মূল ফটকেই হলদে ফর্সা রঙে জলজল করা পরীর মতো কয়েকজন তরুণী অভ্যর্থনা জানাতে সদা প্রস্তুত রয়েছেন। হাতে পাখা নিয়ে হালকাভাবে নাড়ানোর ভাবও করছেন। মাঝেমধ্যে নাড়াচ্ছেনও। এসব দেখে যে কারোই মনে হতে পারে চীনের কোনো রেঁস্তরাতেই বোধহয় এসেছেন!
এদিকে, অভ্যর্থনা নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে হরেক রকমের ফল দিয়ে তৈরি নানা রকম প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। টেবিল সাজানোর ধরণ ও খাবারের রঙ, স্বাদ এবং সৌন্দর্য দেখে এ কথা স্বীকার করতেই হবে চীনারাই রান্নাকে শিল্পের মর্যাদা দিয়েছে।
ফ্যাস্টিভালে চীনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাতজন বিশিষ্ট শেফ’র তৈরি করা বিশেষ বিশেষ ডিশ ও পানীয় দিয়েই সাজানো হয়েছে প্রদর্শনী। আয়োজন ঘুরে দেখা গেল, প্রায় ২০ রকমের কেক, কয়েক রকমের পনির ও দই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। স্যুপেরও যে কত ধরণ, তা দেখা মাত্রই যেকোনো ভোজন রসিককে আশ্চর্য হতে হবে।
এছাড়া ভাত, নুডুলসেরও রয়েছে রকমফের। চিড়িং, মাছ, গোশত আর সালাদের যে কত প্রকার রেসিপি হয়, তা যে কোনো ঘরকন্যাকেই পুলকিত করবে।
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সহযোগীতায় ফ্যাস্টিভালটির আয়োজন করেছে চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল, ইডাচু লিমিটেড চায়না এবং বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের দূতাবাস। যা উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিঙ কোইয়ান (Ma Ming Qiang), সোনারগাঁও হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ই.জে ম্যাক ইভান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, খাদ্য সংস্কৃতি সেতু বন্ধনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখে। খাদ্য এবং ভাষা মানুষে-মানুষের দুরত্ব খুব দ্রুত কমিয়ে দেয়। খাদ্য সংস্কৃতি মানুষকে কাছাকাছি আসতে সাহায্য করে। চীনারা এজন্যই খাবারকে সামনে রেখে প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠেন। তারা খাবার তৈরি ও পরিবেশনাকে উৎসব মনে করেন।
চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ৪০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে এ ফ্যাস্টিভালের আয়োজন করা হয়েছে। তাই দেশবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এই উৎসবে আসুন। চীনা খাবার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
ইইউডি/পিসি