ঝালকাঠি: সাধারণ মানুষ নদী বা খাল পারাপারের জন্য ব্রিজ ব্যবহার করে। কিন্তু ঝালকাঠির রাজাপুরের ঘালুয়া ইউনিয়নের পূর্ব পুটিয়াখালি গ্রামে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় ২টি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও ওই ব্রিজের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পারাপার হতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। পারাপারের ভয়ে এখন অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেও যেতে চাচ্ছে না।
সরেজমিনে জানা গেছে, পূর্ব পুটিয়াখালি গ্রামের ১০৩ ও ১২০ নম্বর দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরাসহ ভাঙা ব্রিজ দিয়ে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
পূর্ব পুটিয়াখালি গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস তালুকদার ও স্থানীয় জালাল তালুকদারসহ একাধিক শিক্ষক এবং স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছর আগে এ খালের উপরে পাটাতন দিয়ে এ লোহার ব্রিজ তৈরি করা হয়। নির্মাণের ২/৩ বছর পরেই ব্রিজটির মাঝখান থেকে পাটাতন ও লোহার পাত ভেঙে যায়।
ফলে ওই খালের উভয় পাশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধ এবং পুটিয়াখালি বাজারে যাতায়াতকারীসহ হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
ওই ব্রিজ এলাকায় কার্পেটিং রাস্তা এবং প্রায় ২ কিলোমিটার নিচু কাঁচা রাস্তা রয়েছে। যা পাকা করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয়নি। বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পর্যন্ত কাদা পানির সৃষ্টি হয়। এতে বর্ষার মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়রাসহ যাতায়াতকারীদের। এমনকি ছোট শিশুরা বছরে ২/৩মাস ধরে স্কুলে যেতে পারে না।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি সূত্র জানায়, বরাদ্দ পেলে ব্রিজটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হবে এবং রাস্তাও সংস্কার করা হবে।
স্থানীয় ঘালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়য়ে জানতে ঘালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক কামাল জানান, ব্রিজটি এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে বলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
এসএইচ