ঢাকা: দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী-এমপিদের জন্য প্রচারণার সুযোগ রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতে প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন, এমন একটি বিধান রাখছি নির্বাচনী আচরণ বিধিতে।
সরকারি সুবিধাভোগী বলতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে। যেহেতু দলীয়ভাবে নির্বাচন হবে, তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেভাবে তারা অংশ নিতে পারেন, স্থানীয় নির্বাচনেও সেভাবে অংশ নেবে। তবে তারা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে তারা প্রচারণায় অংশ নেন, স্থানীয় নির্বাচনেও একই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দলের সদস্যরা বা সুবিধাভোগীরা সরকারি সুবিধা না নিয়ে আগেও প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন, এখনো তাই রাখা হয়েছে। কাজেই নির্বাচনী বিধানে নতুন কিছু যোগ করা হয়নি।
মনোনয়ের বিষয়ে মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, দলগুলো প্রথমে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেবে। তারপর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে বলে দেবে, কে তাদের প্রার্থী। এতে বাকিদের প্রার্থিতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জুড়ে দিতে হতো। এটা কষ্টকর হয়। তাই যেসব পৌরসভায় ৫০ হাজারের উপরে ভোটার রয়েছে, সেগুলোর মেয়র প্রার্থীদের জন্য ২০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর এবং এর কম ভোটারের ক্ষেত্রে ১০০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জুড়ে দেওয়ার বিধান আনা হচ্ছে। সব কাউন্সিলরদের জন্য ২০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জুড়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচন (পৌরসভার) আইন সংশোধনের নতুন অধ্যাদেশ হয়েছে, সেই আলোকেই বিধি তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে তা ভেটিং হয়ে এলেই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবো।
শাহ নেওয়াজ বলেন, ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন করবো। আগামী সপ্তাহে বিধি ভেটিং হয়ে আসলে তফসিল ঘোষণার জন্য আলোচনায় বসবো। এক্ষেত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে সব ব্যবস্থাই আমরা নেবো। তফসিল ঘোষণার আগেও তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবো, পরেও বসবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
ইইউডি/আরএম