ঢাকা: জাল মুদ্রার ব্যবসা করে অর্থের যোগান দিয়ে থাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। জাল মুদ্রার ব্যবসায় যে লাভ হয় সে টাকা দিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে তারা।
শনিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে চার পাকিস্তানিসহ সাত সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। আটক চার পাকিস্তানি হলেন- মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ শাকিল, খলিলুর রহমান ও ইকবাল। অপর তিন বাংলাদেশি হলেন বাবুল খান, ফরমান ও শহীদ।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৪টি পাকিস্তানি ও ৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৭টি মোবাইল সেট, নগদ ২৬ হাজার ৮শ’ ৮১ পাকিস্তানি রুপিসহ জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত বই উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, জেএমবি’র প্রধান নেতা সাইদুর রহমান জেলখানায় আটক থাকায় তার অনুসারীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করার চেষ্টা করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক বা কোনো কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদেশি জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহসহ বিভিন্ন কাজে সহায়তা নিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, মূলত সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই জঙ্গি সংগঠনের মূল লক্ষ্য। তবে অন্য কোনো কারণ থাকাও অস্বাভাবিক নয়। কারণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পক্ত রয়েছেন সে প্রমাণও আমাদের কাছে রয়েছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটককৃত পাকিস্তানিরা বৈধ পাসপোর্টের মাধ্যমেই বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকে। তবে বিস্তারিত তথ্য জানতে তাদের দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
** সন্দেহের মূলে আনসারুল্লাহ বাংলাটিম
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
জেডএফ/এএসআর