ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

হাইকোর্টে বিডিআর হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৫
হাইকোর্টে বিডিআর হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর), বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হত্যা মামলায় হাইকোর্টে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সব ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হচ্ছে।



রোববার (০৮ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বিশেষ বেঞ্চে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি এ মামলার শুনানি শুরু হয়।
 
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তাদের আইনজীবীরা।
 
গত ৪ জানুয়ারি রাতে সকল ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চটি গঠন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। প্রথমবারের মতো এ বেঞ্চ বসে ৫ জানুয়ারি। ওইদিন এ মামলার বিরতহীন শুনানির জন্য ১৮ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় সর্বমোট ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। এজন্য মোট ১২ লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত দুই কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে মোট সাজাপ্রাপ্ত ৫৭৫ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় তৎকালীন ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে। এদের মধ্যে ১৪ জন পলাতক রয়েছেন।

বিশ্বের ইতিহাসে একটি মামলায় সবচেয়ে বেশি আসামির ফাঁসির আদেশের রেকর্ড গড়েছে এ রায়।

এছাড়া এ মামলায় বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু (প্রয়াত) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় সে সময়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়। বিচারিক কাজ শেষে হত্যা মামলার রায় দেন পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার পাশে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের বিচারিক আদালত। বিস্ফোরক মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম একই আদালতে চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।