ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছয়জন দুদকের দায়ের করা দুটি মামলার আসামি।
এছাড়া তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংকটির এক সহকারী মহাব্যবস্থাপকসহ (এজিএম) সাত কর্মকর্তাকে স্বাক্ষী হিসেবে দুদকে হাজির হতে নোটিশ দিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী তাদের তলবি নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
২৪ নভেম্বর বেলা ১২টায় দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে চার আসামিকে হাজির হতে বলা হয়েছে তারা হলেন, সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় কার্যালয়ের রফতানি শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার জাকির হোসেন, একই শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে অবসরে) কাজী এনামুল হক, বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে অবসরে) মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, একই বিভাগের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল হোসেন।
সোনালী ব্যাংকের ছয় কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির এ চার কর্মকর্তাসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক (মামলা নং ৫৪)।
এ মামামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ রফতানি ব্যর্থতার কারণে পিলুসিড টেক্সটাইল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণপত্রের বিপরীতে ছয় কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৯ টাকা আত্মসাৎ করেছে, যা সুদসহ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ৭৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৬ টাকা।
এছাড়া মতিঝিল থানায় আরেকটি মামলার তদন্তের প্রয়োজনে সোনালী ব্যাংকের এনসিটিবি শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার (স্থানীয় কার্যালয়ের সাবেক অফিসার) মোশারেফ হোসেন এবং সোনালী ব্যাংক কুমিল্লার দেবিদ্বার শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজার (স্থানীয় কার্যালয়ের এক্সপোর্ট সেকশনের সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার) জাকির হোসেনকে ২৪ নভেম্বর সকাল দশটায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। গত ২ জুলাই এ দুই আসামিসহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক (মামলা নং ২)।
ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে ক্যাশ ইনসেনটিভ খাতে বিধি বহির্ভূতভাবে ডিসকাউন্ট সার্টিফিকেট ইসুপূর্বক চার কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯০ টাকা পরস্পরের যোগসাজশে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে মতিঝিলে ৫৪ নম্বর মামলার তদন্তে স্বাক্ষী হিসেবে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এজিএম মো. আজাদুল হকসহ ৫ কর্মকর্তাকে ২২ নভেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। সাক্ষী হিসেবে দুদক এ মামলায় অপর যে ৪ জনকে তলব করেছে তারা হলেন, প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান, জসিম উদ্দিন খান, মনজুর রহমান ও বিপ্লব ভূষণ বকশী।
২নং মামলার তদন্তের প্রয়োজনে সাক্ষী হিসেবে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা (এসইও) সুকুমার রায় এবং খোন্দকার আব্দুল ওয়াকিবকে ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে নোটিশে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
এডিএ/এএসআর