ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ফের পেছালো জিটুজি প্লাসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
ফের পেছালো জিটুজি প্লাসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি (ফাইল ফটো)

ঢাকা: আবারও পিছিয়ে গেল বেসরকারি রফতানিকারকদের (জিটুজি প্লাস) যুক্ত করে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির বিষয়টি।

সোমবার (০৯ নভেম্বর) দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও সেটি ফেরত পাঠিয়েছে মন্ত্রিসভা।



মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের যুক্ত করেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় যেতে জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকার মধ্যে খরচ রাখার চেষ্টা করছে সরকার। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের যাবতীয় তথ্য অনলাইনের মাধ্যমেই আদান-প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

নানা অনিয়ম ও প্রতারণার কারণে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া তিন বছর বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালের শেষ নাগাদ দুই দেশের মধ্যে জিটুজি পদ্ধতিতে কর্মী নেওয়ার চুক্তি হয়। চুক্তির পর মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার লোক নিবন্ধন করেন। এর মধ্যে থেকে গত তিন বছরে প্রায় আট হাজার কর্মী দেশটিতে গেছেন। আর জিটুজির বাইরে ব্যক্তিগতভাবে এখন অনেকেই মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন।

গত মে-জুন মাসে সাগরপথে মানবপাচার, গণকবর ও অভিবাসীদের ওপর নির্যাতন নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেয় মালয়েশিয়া । প্রথমে জনশক্তি পাঠানোর কাজটি বেসরকারি পর্যায়ে (বিজনেস টু বিজনেস পদ্ধতি বা বিটুবি) ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হলেও পরে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসেন। তখন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, শিগগিরই মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এএসএমএ/জেপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।