তালা(সাতক্ষীরা): কপোতাক্ষ নদের খননকৃত মাটি চুরিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে, এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কতটুকু প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী।
খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু বাংলানিউজকে জানান, নদের তীর থেকে মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে চলতি বছর বন্যা হয়েছিল। কেউ যেন মাটি কেটে নিয়ে না যায়, সে জন্য সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার।
মাটি নেওয়া বন্ধের জন্য ইতোমধ্যে দুই ইট ভাটা মালিক ও একজন বালি উত্তোলনকারীকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত ২ নভেম্বর নদের মাটি চুরি রোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নদের নাব্যতা ফেরাতে ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ খননের কাজ চলমান। খননকৃত মাটি নদের তীরে উঁচু করে রাখা হয়েছে। এ-মাটি যে-যার মতো করে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ ব্যবহার করছে ইট ভাটায়, কেউ বা উঁচু করছেন বসতভিটা। এ মাটি নেওয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমে কপোতাক্ষ তীরবর্তী এলাকা আবারও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
পিসি