ঢাকা: গাজীপুরে চন্দ্রা এলাকায় শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ তপতী রাণী দাশ (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য মৃত রাণীর স্বামী সঞ্জয় কুমার দাসকে দায়ী করা হচ্ছে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে টানা তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত তপতী রাণী দাশ চন্দ্রা এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন স্থানীয় হাজী সাহেবের বাড়িতে স্বামী সঞ্জয় কুমার দাস ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলে রুদ্রের সঙ্গে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইতনা এলাকায়।
রাণী দাশের মা সঞ্জিলা রাণী বাংলানিউজকে জানান, গত শনিবার (০৭ নভেম্বর) সঞ্জয় তার মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার দুপুরে তপতী রাণী দাশ মারা যান।
তিনি বলেন, ‘সঞ্জয় কিছু করে না। সে সব সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো। আমার মেয়েকে টাকা এনে সংসার চালাতে বলতো। ’
দগ্ধ অবস্থায় রানী দাশকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার শরীর ৯০ শতাংশ আগুনে ঝলসানো ছিল বলেও জানান ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেন্টু চন্দ্র দাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এজেডএস/আরএইচএস/টিআই