ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঘন কুয়াশায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
ঘন কুয়াশায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল ঘন কুয়াশা যান চলাচল-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঘন কুয়াশা ভর করেছে দেশের মহাসড়গুলোতে। এ কারণে দূরপাল্লায় চলাচলকারী রাতের যানবাহনের গতি নামিয়ে আনতে হচ্ছে। ভোর শেষে কুয়াশা কাটলেই স্বাভাবিক হয় মহাসড়কগুলো। তার আগ পর্যন্ত সতর্কাবস্থায় থাকতে হচ্ছে চালকদের।

ঢাকা: ঘন কুয়াশা ভর করেছে দেশের মহাসড়গুলোতে। এ কারণে দূরপাল্লায় চলাচলকারী রাতের যানবাহনের গতি নামিয়ে আনতে হচ্ছে।

ভোর শেষে কুয়াশা কাটলেই স্বাভাবিক হয় মহাসড়কগুলো। তার আগ পর্যন্ত সতর্কাবস্থায় থাকতে হচ্ছে চালকদের।

কুয়াশায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে এরই মধ্যে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও গাড়ির গতি একেবারে কমিয়ে চলতে দেখা যায়। একই অবস্থা ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কেও।

তবে কুয়াশার মধ্যে মহাসড়গুলোতে যানবাহন চালানোর সর্বোচ্চ কোনো গতিসীমা এখনও চালকদের জানা নেই। এ বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা তারা পাননি বলে জানা যায়। গত বছর একই সময় কুয়াশায় দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় যানবাহন চালানোর সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছিলো এ সংক্রান্ত সরকারি কমিটি।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা-সিলেট সড়কে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। পাঁচহাত সামনের পথও দেখা যায়নি। এ অবস্থায় সড়কের কোথাও কোথাও একেবারে থেমে থেমে চলতে হয়েছে গাড়িগুলো।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের একজন বাস চালক বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন থেকে কুয়াশা সামান্য থাকলেও মঙ্গলবার রাত থেকে বেড়ে গেছে ‍কুয়াশা। ঢাকা থেকে রাতে বের হলেই ঘোড়াশালে কুয়াশার চাদরে আটকা পড়তে হয়। এরপর নরসিংদী, ভৈরব হয়ে সিলেট পর্যন্ত ১৭০ কিলোমিটার রাস্তা ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে।
ঘন কুয়াশা যান চলাচল-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা থেকে দূরপাল্লার একটি বাসে চড়ে দেখা যায়, চালকের সঙ্গে সতর্ক থাকতে হচ্ছে বাসের হেলপার ও সুপাইভারজারদের। চালকের একার পক্ষে কুয়াশা কেটে সামনে লক্ষ্য রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে গত সপ্তাহে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।

ওই বাসের যাত্রী ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী নিজে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে চালক রাস্তার মাঝখানের আইল্যান্ডে সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের এক ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে দরজা কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনিসহ অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
 
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, দুর্ঘটনার পর ওই বাস কর্তৃপক্ষের কেউ তাদের খোঁজ রাখেননি। স্টিয়ারিংয়ে দক্ষ চালক না থাকায় এসব গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে বলে তিনি জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এরই মধ্যে তার বক্তব্যে চালক ও মালিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় চালকদের সতর্ক থাকতে হবে। গতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এসএ/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।