ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তনু থেকে রিশা, আলোচনায় মিতু হত্যাকাণ্ড

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
তনু থেকে রিশা, আলোচনায় মিতু হত্যাকাণ্ড মাহমুদা আক্তার মিতু, সোহাগী জাহান তনু ও সুরাইয়া আক্তার রিশা (বা থেকে)

ঢাকা: বিদায়ী বছরজুড়েই বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বছরের শুরুতে কুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ড নাড়া দেয় গোটা জাতিকে। শেষের দিকে রাজধানীতে স্কুলছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে দিন দুপুরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

আর বছরের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত। এ হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হয় প্রশাসনের তোড়জোড়।

তারপর অনেক নাটকীয়তার মধ্যে শেষ পর্যন্ত ধোঁয়াশাতেই রয়ে গেছে ঘটনার রহস্য।

তনু হত্যা

২০ মার্চ কুমিল্লার সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাড়ির কয়েক শ’ গজ দূরেই খুন হন ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু। সেনানীবাস সংলগ্ন নিরাপদ এলাকায় তনু হত্যায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ধর্ষণের আলামত নেই। পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। এ হত্যা মামলা পুলিশের হাত ঘুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হয়ে এখন সিআইডির হাতে। তবে, তদন্তে এখনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি সিআইডির, হত্যাকারী রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মিতু হত্যাকাণ্ড

বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ড। গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নিজ বাসার ১০০ গজ দূরে ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। ঘটনার পর স্বামী পুলিশ সদর দফতরের এসপি(পরে অব্যাহতি পেয়েছেন) বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর কয়েকজনকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মূলহোতারা আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

স্কুলছাত্রী রিশা হত্যা

গত ২৪ আগস্ট দুপুরে ঢাকার কাকরাইলে স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজের উপরে সুরাইয়া আক্তার রিশার পেট ও হাতে ছুরি মেরে পালিয়ে যান টেইলার্স কর্মচারী ‘বখাটে যুবক’ ওবায়দুর রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর গত রোববার মারা যায় রিশা। রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।  

পরিবারের অভিযোগ ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নীলফামারী ডোবার থেকে ওবায়দুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দেয় ওবায়দুর।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬

পিএম/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।