শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
শান্তাকে শান্তা উজিরপুরর রত্নপুর এলাকার মৃত মোস্তফা সরদারের মেয়ে।
এরআগে, সন্ধ্যায় উপজেলার ধামুরা স্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আলাল উজিরপুরের কাংশি এলাকার ফজলু সরদারের ছেলে।
শান্তার মা নিলুফা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ২ থেকে ৩ বছর ধরে বিয়ে করার জন্য বখাটে আলাল তার মেয়ে শান্তাকে নানান ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ ব্যাপারে আলালকে বার বার নিষেধ করার পরও সে কথা শুনেনি।
তিনি বলেন, শনিবার কলেজে পরীক্ষা ছিল শান্তার (মেয়ে)। পরীক্ষা দিয়ে বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পরে ধামুরা স্ট্যান্ডে নেমে ভ্যানযোগে বাড়িতে আসার পথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শান্তার মুখের সামনে অংশে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে। এতে শান্তা গুরুতর জখম হয়।
এসময় শান্তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই বকাটে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা শান্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বরিশালে নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় শান্তার মা নিলুফা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজন সোহরাব হোসেন।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় আলালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এমএস/এসআরএস