দেশি চালের চেয়ে ভারতীয় চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কম। ফলে ভারতীয় চালের আমদানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, ভারতীয় চাল দখল করেছে খুলনার সব মোকাম। ভারত থেকে আসা চালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, মিনিকেট ও বালাম ২৮। যার প্রভাবে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) মহানগরীর বড় বাজারের মেসার্স মুরাদ ট্রেডিং-এর বিক্রেতা জিয়াউল হক মিলন বাংলানিউজকে বলেন, ভারতীয় চালের আমদানি করায় বাজারে চালের দাম কমেছে।
মেসার্স দিনাজপুর ভাণ্ডারের ম্যানেজার সাগর বলেন, চালের দাম কমায় ক্রেতারা স্বস্তিতে রয়েছেন। যার কারণে বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের চালের দাম কমেছে। চারদিন আগে বালাম-২৮ বিক্রি হয়েছে ৫৬ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়, এলসি বালাম ৫০ থেকে কমে ৪২ টাকায়, বাসমতি ৬৮ থেকে কমে ৬৪ টাকায়, নাজিরশাইল ৬৭ থেকে ৬৬ টাকায়, মিনিকেট ৬২ থেকে কমে ৫৮ টাকায়, আতপ ৩৭ থেকে কমে ৩৪ টাকায়, এলসি স্বর্ণা ৪৯ থেকে ৪১ টাকায়, এলসি মিনিকেট ৬০ থেকে ৫৪ টাকায়, ভাইটাল মোটা ৬৩ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া সিদ্ধ কাটারিভোগ অপরিবর্তিত ৭৫ টাকায়, আতপ কাটারিভোগ ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬২ টাকায়, পোলাও ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। এ বিষয়ে মাসুম বিল্লাহ নামের এক ক্রেতা বলেন, ভারতীয় চালের আমদানির পাশাপাশি বাজারে প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হওয়ায় চালের দাম কিছুটা কমেছে। মিল মালিকরা জরিমানা ও মামলার ভয়ে চালের দাম বাড়াচ্ছেন না।
তবে যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করেছিলেন তাদের এখন মাথায় হাত পড়েছে।
খুলনা ধান চাল বণিক সমিতির সভাপতি মনির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানির জোয়ার ও মিল মালিকরা চালের দাম কমানোতে বাজারে চালের দাম কমছে।
তিনি জানান, প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম কমেছে ৭-৮ টাকা। মাঝারি ৬-৭ টাকা। চিকন ৪-৫ টাকা কমেছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওএমএসের চাল বিক্রি, ভারত থেকে চাল আমদানি ও বাজার সিন্ডিকেট বিশেষ নজরদারিতে থাকায় চালের দাম অব্যাহতভাবে কমছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এমআরএম/আরআর