সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সহযোগিতায় মাঠে চাষাবাদ করা হচ্ছে। মাঠ রক্ষার অজুহাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আব্দুল বাছেদের কাছে বর্গা দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্কুলের মাঠটি বর্গা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে। মাঠের চারপাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। মাঠে চাষাবাদ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। এছাড়া মাঠের চারপাশে গড়ে উঠা বসত বাড়ি থাকায় স্থানীয়দের চরাফেরা করতেও কষ্ট হচ্ছে।
মোহনপুর পাবলিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলার মাঠে কালাই চাষ শুরু হয়েছে। মাঠটি বন্যার পানিতে ডুবে ছিল। মাঠটির জন্য এ যাবৎ কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
মোহনপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মোহনপুর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আশরাফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এলাকার বালু ব্যবসায়ী ও কিছু লোকজন মাঠ দখল করে পরিবহন যাতায়াতের পথ তৈরি করায় মাঠ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। মাঠ রক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে একজন বর্গাচাষীকে দিয়ে কালাই চাষ করানো হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কবির বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ রক্ষার জন্য সাময়িকভাবে কালাই চাষ করা হচ্ছে বলে শুনেছি। তবে কালাই চাষ শেষ হওয়ার পর মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এনটি