রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে শিশুটি বাশেঁর সাঁকো পার হতে গেলে ওই খালে পড়ে যায় সে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ২১ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও খোঁজ মেলেনি হৃদয়ের।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিভিশনের কর্মী ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) দেবাশীষ বর্ধন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। খালের গভীরতা অনেক তবে উপরে ময়লা-আবর্জনায় পূরু স্তরের সৃষ্টি হয়েছে। খালের নিচে অসংখ্য ছোট-বড় বাঁশ রয়েছে। এ জন্য আমাদের ডুবুরিরা নিচে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারছেন না।
খালের উপরে ময়লাগুলো পরিষ্কার করার কাজ চলছে। তবে খালের নিচের স্থানটি প্রচুর ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান দেবাশীষ বর্ধন। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন খালের উপরে থাকা ময়লাগুলো সরানোর কাজ করছে। দীর্ঘদিন যাবত ময়লা ফেলার কারণে খালের উপর অনেক শক্ত স্তরের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে স্থানীয় উৎসুক জনতার ভিড়ও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মদিনাবাগ এলাকার ওই খালে পড়ে এর আগেও এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পুরো এ খালটি সরকারি হলেও স্থানীয়রা দখল করে ঘর-বাড়ি তৈরি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এসজেএ/আরআইএস/