সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের জাগির দিঘুলিয়া এলাকায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্যে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
বারেক ওই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোতালেব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বাবা আব্দুর রশিদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো বারেকের।
সংসার জীবনে বারেক দুই কন্যা সন্তানের জনক হওয়ায় তাকে পৈত্রিক ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে কথিত ছিলো। এরপর চলতি বছরের ৩ জুলাই ধান ক্ষেতের পাশের একটি মেশিন ঘরে বারেকের মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সামাজিকভাবে মীমাংসা করে মরদেহ দাফন করা হয়। আব্দুর রশিদ তার ছেলের প্রাপ্য ৭২ শতাংশ জমি ছেলের বউ সেলিনা বেগমকে দলিল করে দিয়ে দেন।
এর কিছুদিন পরে সেলিনার কাছ থেকে জোর করে ৭২ শতাংশ জমি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জমিগুলোর দলিল বাতিলের জন্য মামলা করেন আব্দুর রশিদ। মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজ সেলিনা বরাবর গেলে তিনি মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
এরপর সেলিনা বাদী হয়ে তার স্বামী বারেককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন করার জন্যে মরদেহটি উত্তোলন করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
আরআর