সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তেঁতুলিয়া আমলি আদালত-৪ এ হাজির হয়ে তারা জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলা সদরের মোমিনপাড়া এলাকার মৃত সোলেমান আলীর ছেলে ও তেতুঁলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি এটেন্ডেন্ট মনসুর আলী রাজন (৩২) এবং ক্ষণিয়াভিটা এলাকার বাসির উদ্দিনের ছেলে ও তেঁতুলিয়া বাজারের বিকাশ এজেন্ট আতিকুজ্জামান আতিক (৩৩)।
এর আগে শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে সোনিয়ার মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তেঁতুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রায় তিন মাস আগে অসুস্থ মায়ের ওষুধ নিয়ে যাওয়ার জন্য সোনিয়াকে ফার্মেসিতে ডেকে নিয়ে যান রাজন। এসময় ফার্মেসিতে ওষুধ নেই বলে বাসা থেকে ওষুধ আনার কৌশলে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে সোনিয়াকে আতিকের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে সোনিয়াকে রাজন ও আতিক মিলে ধর্ষণ করে ও তার ভিডিও ধারণ করে। পরে এ ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে সোনিয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে বার বার ধর্ষণ করে।
এ অপমান সহ্য করতে না পেরে অবশেষে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
টিএ/আরএ