সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘ডায়লগ উইথ জার্নালিস্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস’ শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র এ কর্মশালা আয়োজন করে।
আসকের সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফজলুল করিম বলেন, এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, অপরাধীর শাস্তি প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হলেও এক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয় নি।
গুম ও বিচার বর্হির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, গুম ও বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অপরাধ হিসেবে শিকার করে নিতে হবে। অতি দ্রুত এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।
মানবাধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা তুলে ধরে আসকের নির্বাহি পরিচালক শিফা হাফিজা বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন। একটি দেশের সমাজের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না থাকলে সে দেশ ও সমাজে অন্যায় বেড়ে যায়। খুন, অপহরণ ও দুর্নীতিসহ সব রকমের অন্যায় ঘটে। জবাবদিহিতার মত দুরূহ বিষয়ে সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের কাছেই আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো জানতে পারি। এমনকি তাদের প্রচারিত সংবাদের কারণে অনেক ঘটনার বিচার করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এমসি/জেডএম