সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
এসময় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক ও শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কের বিভিন্ন দোকান-পাটের সামনের ফুটপাতে গড়ে ওঠা দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন সৈয়দপুর পৌরসভার কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উত্তর জনপদের সবচেয়ে ব্যস্ততম সৈয়দপুর শহরটিতে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাইপাস সড়ক থাকার পরও দিনের বেলা শহরের ভেতর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল ও যত্রতত্র মালামাল উঠানো-নামানো হচ্ছে। এতে করে গত এক বছরে সৈয়দপুর শহরে ৫ জনের প্রাণহানী ঘটে। তাই এ উচ্ছেদ অভিযান।
এর আগে ‘জনস্বার্থে দখলমুক্ত ফুটপাত চাই, যানজটমুক্ত রাস্তা চাই, পথচারীদের জন্য ফুটপাত’ শীর্ষক পাঁচদিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন চলে সৈয়দপুরে। সচেতনতামূলক এ ক্যাম্পেইনটি চলে ১০ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনে সহযোগিতা করে সৈয়দপুর পৌরসভা, সৈয়দপুর থানা ও ট্রাফিক বিভাগ, সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, সৈয়দপুর শহরকে যানজটমুক্ত করতে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
টিএ