সোমবার (১৬ অক্টোবর) অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- উজিরপুর নরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্বশুর আবুল কাশেম ডাকুয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড ও তার ছেলে দেবর মামুনকে দুই বছরের কারাদণ্ড তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার আবুল কাশেম আদালতে উপস্থিত থাকলেও তার ছেলে মামুন পলাতক ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাৎ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আবুল কাশেম ডাকুয়ার বড় ছেলে মিজানুর রহমান একই গ্রামের বাসিন্দা রুনু আক্তার লাকিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর রুনুর দুইটি কন্যা সন্তান হলে মিজানুর দুবাই চলে যান। মিজান প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা তার স্ত্রী রুনুকে মারধর করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর দণ্ডিতরা ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট মিজান দুবাই থাকাবস্থায় তার স্বাক্ষর জাল করে তালাকনামা প্রস্তুত করে ১৪ আগস্ট রুনুকে তালাকের নোটিশ পাঠায়।
এ ঘটনা রুনু তার স্বামী মিজানকে ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি তালাকের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। পরবর্তীতে রুনু বাদী হয়ে শ্বশুরসহ দুই দেবরের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারি উজিরপুর থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ৩১ মার্চ উজিরপুর থানার এসআই রজব আলী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত নয় জনের সাক্ষগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এমএস/এনটি