রাতের অন্ধকারে নিজস্ব বাতির আলোতেই ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল করছে। শুধু সড়কেই নয়, সদ্য নির্মিত মগবাজার ফ্লাইওভারেও (উড়াল সড়ক) বাতি জ্বলে না।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, মগবাজারে যেতে মহাখালী বাস টার্মিনালের পর থেকে গুলশান লিংক রোড পর্যন্ত সড়ক অন্ধকার। এই অংশে কোনো সড়কে বাতি নেই। এরপর কিছুটা এগিয়ে আবারও অন্ধকার রাস্তা। তিব্বত থেকে সাত রাস্তার একটু আগে বিজয় স্মরণি থেকে আসা ফ্লাইওভারের মাথা পর্যন্ত সড়কে কোনো বাতি নেই।
এদিকে, মহাখালি ফ্লাইওভার থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত এই সড়কের পুরো অংশই ভাঙাচোরা ও খানা-খন্দে ভরা। এর ফলে দ্রুত গতিতে যানবাহন চলতে না পারায় দিনের বেলায় ব্যস্ততম এই সড়ক স্থবির হয়ে পড়ে। রাতে চাপ কম থাকলেও রাস্তা ভাঙাচোরা অন্ধকার থাকায় ধীর গতিতে যানবাহন চলতে দেখা যায়।
এরপর, সাত রাস্তা থেকে শুরু মগবাজার ফ্লাইওভারের এক পাশে (ডান) বাতি আছে অন্য (বাম) পাশে বাতি আছে কিন্তু জ্বলে না। পুরোটা ফ্লাইওভারেই একই অবস্থা। আবার এই ফ্লাইওভারে উল্টো ঘটনাও রয়েছে। এর ডান পাশের এই বাতিগুলো কখনও কখনও দিনের বেলায় জ্বলতে দেখা যায়। গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলছে।
স্কাটন থেকে মগবাজার ওয়ারলেস পর্যন্ত ফ্লাইওভারের পুরোটাই অন্ধকার। এই ফ্লাইওভারে বাতি আছে কিন্তু একটি বাতিও জ্বলে না। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চলছে। রাতের এই সময় ফ্লাইওভারে যান চলাচল করতে দেখা গেলো না বললেই চলে। রাত দেড়টায় এই ফ্লাইওভারে ১৫ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে থেকে একটি ট্রাক যেতে দেখা যায়। আর উল্টো পথে যেতে দেখা যায় মালিবাগের দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল।
এ সময় ফ্লাইওভারে মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে ছিলেন নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপের নিরাপত্তাকর্মী নুরুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাতি আছে, বাতি জ্বলতো। কিন্তু গত এক মাস হলো বাতিগুলো জ্বলছে না। চোরে তার কেটে নিয়ে গেছে এজন্য বাতি জ্বলে না। নেশাখোররা এগুলো কেটে নিয়ে যায়।
একই অবস্থা দেখা গেলো খিলগাঁও ফ্লাইওভারের কিছু অংশে। এই ফ্লাইওভারের মাঝামাঝি কিছু অংশে কোনো বাতি জ্বলে না। অন্ধকারের মধ্যেই ব্যস্ততম এই ফ্লাইওভারেও যানবাহন চালাচল করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এসকে/এনটি