তিনি বলেন, সাইমের গলায় আমার দাগ পেয়েছি। গলা থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডা. প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, এর আগে অনেক মানুষের ময়নাতদন্ত করেছি, তাদের হাতে টেটু বা বিভিন্ন ধরনের লেখা পেয়েছি। কিন্তু এই প্রথম সাইমের বাম হাতে একটি তিমি মাছ আঁকা দেখলাম। এটা দেখে মনে হলো সুচালো কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মাছটি আঁকা হয়েছে।
পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে ইন্টারনেটে ব্লু হোয়েল গেমসের ম্যাসেজ আদান প্রদান করার কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে সাইম দেওয়ান আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মিরপুর থানা (ওসি তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, মৃত সাইমের বাম হাতে একটি তিমি মাছ আঁকা পাওয়া যায়। ব্লু হোয়েল গেমসের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারনা করছেন।
সাইমের বাবা বাবু দেওয়ান জানান, ৬ষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে সাইম। মিরপুর এলাকায় তাদের একটি বইয়ের দোকান আছে। দোকানটি দেখাশোনা করতো সে।
তিনি বলেন, কিছু দিন ধরে সাইমের অনেক পরিবর্তন দেখা দিয়েছিলো। তবে সে সব সময় ফুলহাতা শার্ট পরতো বলে তার হাতে আঁকা তিমি মাছটি পরিবারের কেউ দেখতে পাননি।
**ব্লু হোয়েলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে সাইমের আত্মহত্যা
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এজেডএস/বিএস