মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাঘা থানা পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহামুদ বাংলানিউজকে বলেন, এক মাস আগে মনিগ্রাম এলাকার নবির উদ্দিনের ছেলে মাহাবুর রহমনের সঙ্গে পাশের চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি গ্রামের হামিদুর রহমানের মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের বিয়ে হয়।
এদিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ উদ্ধারের সময় নিহতের বোন দোলেনা খাতুন অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে তার বোন এই বাড়িতে কষ্টে ছিলো। তাকে বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে দিতেন না মাহাবুর। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন।
তবে আটকের পর বৃষ্টির স্বামী মাহাবুর দাবি করেছেন, এ অভিযোগ সঠিক নয়। তার স্ত্রী অন্য একটি যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতো। বিষয়টি জানার পর সে গোপনে স্ত্রীর মোবাইলের কল রের্কড চালু করে রাখে। এ বিষয় নিয়ে সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে বৃষ্টির সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। ভোরে সবার অগোচরে তার শয়ন কক্ষে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
ওসি আরও বলেন, ওই নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন না তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি রহস্যজনক। এজন্য তার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এছাড়া নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুর ১টার দিকে রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এই ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এসএস/জিপি