ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পূণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ছেউড়িয়ার সাধুসঙ্গ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
পূণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ছেউড়িয়ার সাধুসঙ্গ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লালন আখড়াবাড়ি থেকে: সাধুর হাটে সাধুর আরাধনা। মহাত্মা লালনের মর্মবাণী উপলব্ধী অত:পর খাঁটি মানুষ হবার প্রাণান্তর চেষ্টা। কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার এমন সাধুর হাট যেন বিশ্বের কোথাও নেই। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৭তম তিরোধান দিবসে সাঁইজির আখড়াবাড়িতে এ সাধুর হাট বসেছিল পয়লা কার্তিক।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ২টায় পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সাধুসঙ্গ। তাই সাঁইজির ধাম ছেড়ে আবেগঘণ পরিবেশে আপন নীড়ে চলে যাচ্ছেন সাধুরা।

বাউলদের এমন বৃহৎ জমায়েতের দৃশ্য আর কোথাও চোখে মেলে না। প্রতিবছর পয়লা কার্তিক সাঁইজির তিরোধান দিবসে এমন জমায়েতে হাজারো ভক্তরা সামিল হন ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে। একাডেমির তিন দিনের আয়োজন হলেও মঙ্গলবার পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গ শেষ হয়েছে। সাঁইজির ধাম ছেড়ে যেতে কষ্ট হলেও সাঁইজির চরণধুলি নিয়ে ধাম ছাড়ছেন সাধুভক্তরা। তবে কেউ কেউ সাঁইজির মায়ায় আবদ্ধ হয়ে থাকবেন আরো একদিন।

বাউল গবেষক ফকির হৃদয় শাহ বাংলানিউজকে জানান, সাঁইজির ধামে বছরে দুটি অনুষ্ঠানে নয়, পার্থিব জীবনে এই মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হবে সবাইকে।

এদিকে সাধুসঙ্গ শেষ হলেও লালন একাডেমির আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর গ্রামীণ মেলা চলবে আরো একদিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।