এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মেডিকেল কলেজ কতৃপক্ষ। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আসাদ হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে হাসপাতালে এক্স-রে করাতে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসক পরে নিয়ে আসতে বলে। এক পর্যায়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং আউট সোসিং কর্মচারীদের মারধর করে।
এ সময় হাসপাতালের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় প্রতিবাদ জানায় এবং আউট সোর্সিং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মিছিল করে। পরে জয়দেবপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে আউট সোর্সিং কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকায় বিক্ষোভ করে। দুপুরে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বিঘ্ন ঘটে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আসাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। শুধু মেডিকেল কলেজ বন্ধ থাকবে। সময় মতো ভর্তি কার্যক্রম ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
আরএস/জিপি