মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় রসুলপুর-ভবেরচর সড়কে ষোলআনি, দৌলতপুর, ইমামপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
গ্রামবাসীরা জানায়, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ লাখ টন ছাই নির্গত হবে। এই বিষাক্ত ছাই দিয়ে এলাকার তিন ফসলি জমি ভরাট করা হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পোড়ানোর ফলে নির্গত ছাই যার ভেতরে পারদ, মার্কারি, লেড, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক ইত্যাদি পদার্থ রয়েছে তা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। আশপাশের সব ধরনের নদী, খাল, বিল মাছশূন্য হয়ে পড়বে। এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, শ্বাসকষ্ট, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, ক্যান্সার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিবে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গ্রামবাসীরা তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
সরকারী অর্থায়নে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গজারিয়ার ষোলআনী ও দৌলতপুর মৌজায় ৩১৪ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
টিএ