এ লক্ষে ১৬৭ বছরের পুরোনো মহাশ্মশানে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও সমাধিগুলো ধোয়া-মোছার কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। শেষ হয়েছে সমাধিস্থলে রঙ ও লেখার কাজ।
বরিশাল মহাশ্মশার রক্ষা সমিতির সভাপতি মানিক মুখার্জী বাংলানিউজকে বলেন, ভূত চতুর্দ্দশীর পূন্য তিথিতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আয়োজন করা হয়েছে দিপালি উৎসবের। প্রায় পৌনে দুইশ বছরের পুরনো এই শ্মশানের সমাধি পরিষ্কার ও পুরো এলাকার ধোয়া-মোছার মোছার কাশ শেষ হয়েছে।
প্রতিবছরেই এই দিনে ভারত, নেপালসহ উপমহাদেশ এবং বাহিরের অনেক দেশ থেকে প্রচুর লোকের সমাগম হয় এখানে। তাই র্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ও নজরদারি থাকবে জোড়ালো। শ্মশান এলাকা জুড়ে ২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া ১শ’ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী পুরো শ্মসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাজ করবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে পরদিন বুধবার রাত ১২টা ২মিনিট পর্যন্ত শ্মশান দিপালি উৎসব পালিত হবে। তবে মূল উৎসব হবে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায়।
বরিশাল নগরের লাকুটিয়া খাল ঘিরে প্রায় চার একর জায়গায় জুড়ে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ এ মহাশ্মশান। প্রায় পৌনে দুইশ বছর সময় ধরে চলে আসা এই রেওয়াজ অনুযায়ী প্রিয়জনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দিপালি উৎসবে জ্বালানো হয় প্রদীপ। প্রতিবছর ভূত চর্তুদশীর পূণ্য তিথিতে আয়োজন করা হয় এই পূণ্য উৎসবের। শুধুমাত্র বরিশালের নয়, শশ্মানে দিপালি উৎসব দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন ভক্ত অনুসারী ও পর্যটকরা।
প্রিয়জনের স্মৃতিতে মোমের আলো জ্বালানো ছাড়াও সমাধিতে তার প্রিয় খাদ্যসহ নানা উপাচার ও ফুল দিয়ে সমাধি সাজিয়ে তোলা হয়। পূর্বপুরুষের স্মৃতিতে করা হয় প্রার্থনা। তবে যাদের স্বজনরা দিপালি উৎসবে এখানে আসে না। সেসব সমাধিগুলোতে মহাশ্মশানের তত্ত্বাবধানে দীপ প্রজ্জ্বলন করা হয় উৎসবের দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এমএস/জিপি