টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সূত্র জানায়, প্রথম দিনই রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদীসহ পাঁচজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করবে। তারা হলেন বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, তাদের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন, মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুন এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কলেজপাড়ার আব্দুল খালেক ও ফারুক হোসেন সনি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, সাক্ষী দেয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। বুধবার পাঁচজন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, এ মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না করায় আটবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এসআই