মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কুমিল্লার মুরাদ নগর উপজেলার চাপিতলা গ্রামের আবদুল সামাদের ৫ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট রোজিনা।
রোজিনার বড় ভাই মো.শামিম হোসেন জানান, পারিবারিকভাবে আড়াই বছর আগে রোজিনার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রোজিনাকে মারধর করতেন তার স্বামী সাজ্জাদ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রোজিনা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। ২ মাস বাবার বাড়িতে থাকার পর গত পরশু স্বামী সাজ্জাদ এসে রোজিনাকে তার বাড়ি নিয়ে যান।
শামিম অভিযোগ করেন, গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে স্বামীর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন রোজিনা। ঘুমন্ত অবস্থায় তার পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন সাজ্জাদ। পরে রোজিনার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা আসলে সাজ্জাদ একটি স্থানীয় হাসপাতালে সোনিয়াকে রেখে পালিয়ে যান।
রোজিনার পরিবার সংবাদ পেয়ে তাকে মঙ্গলবার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা.পার্থ শংকর পাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোজিনার দেহের ৪৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহারিয়ার রেজা জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয় থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এজেডএস/আরআর