এবারের বর্ষায় ৮ কিলোমিটারের পাকা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙে এবং ইট, পাথর ও সুঁড়কি উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সংস্কারের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ সড়কটির এ বেহালদশা।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা ও জেলা সদরসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ব্যস্ততম সড়কটি। বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন এবং মালবাহী ট্রাকসহ নানা ধরনের ভারী যান চলাচল করে এখানে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরাও হেঁটে যাতায়াত করেন বিভিন্ন স্থানে।
পাহাড়ি অঞ্চলের রক্তিপাড়া, শিবরামবাড়ি, কালামাঝি, লাউফুলা, মাইজবাড়ি, আলোকদিয়া, আমুআটা, ধামাবাশুড়ি, চাপড়িসহ অর্ধশত গ্রামের কৃষিজীবী মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনেও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ব্যবহার করেন।
রক্তিপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সাবেক শিক্ষক আহসান উল্লাহ্ বলেন, বেহালদশা দেখে মনে হয়, এটি সড়ক নয়, মরণফাঁদ!
শিক্ষার্থী আমিনুল হক, বাবলু, আসমা ও সুবর্ণাসহ অনেকেই জানান, সড়কটি অনেকদিন ধরে মেরামতের অভাবে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। এতে তারাসহ ওইসব এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য হেকমত আলীসহ এলাকাবাসী এ সড়কের বড় বড় গর্তের স্থানগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
মধুপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমির আলী জানান, সড়কটি মেরামতের প্রস্তাব পাস হয়েছে। এখন টেন্ডার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এএসআর