বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বুধবার শেষ রাত তিনটার দিকে পদ্মা নদীতে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে অভিযান শুরু করে উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, মাওয়া কোস্টগার্ড ও লৌহজংয়ের পুলিশ সদস্যরা।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ইদ্রিস তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা নদীর কয়েকটি পয়েন্টে ভোরে আমরা অভিযান শুরু করি। এসময় নদীর একটি চরে ট্রলার থামিয়ে জেলেদের উপস্থিতি দেখে অভিযান চালাই। মা ইলিশসহ ১০-১৫ জন জেলে সেখানে অবস্থান করছিল। আমরা মা ইলিশ ও জেলেদের আটকের প্রস্তুতিকালে আশপাশে থেকে শতাধিক জেলে আমাদের ওপর চড়াও হতে থাকে। একপর্যায়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মাথায় আঘাত করে এবং ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় আমিসহ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল মোল্লা পায়ে ও পিঠে আঘাত পাই।
এ ঘটনায় সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে জেলেরা পিছিয়ে যায়। পরে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেই।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শরোজিৎ কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় লৌহজং থানা পুলিশের ৮ সদস্য আট রাউন্ড এবং মাওয়া নৌ-পুলিশের ৪ সদস্য চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ