রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বুধবার (১৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চীন ও রাশিয়াও আনান কমিশনের রিপোর্টের বাস্তবায়ন চায়।
গত শুক্রবার জাতিসংঘে আরিয়া ফরমুলা বৈঠকে তারা এটির সম্মতি জানায়।
চীনের বক্তব্যে কফি আনান কমিশনের বক্তব্য নেই। কিন্তু চীন বলেছে, এ লোকগুলো পরশুদিন যায়নি। যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বসবাস করছে। এতেই বোঝা যায়, চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য গোটা বিশ্ব বাংলাদেশকে অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক বছরের কম সময়ে এ সংকট সমাধানে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী ৫ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। সহিংসতা বন্ধ না হওয়ায় ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯ লাখে দাঁড়িয়েছে। এখন নিরাপদে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানো আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের ওপর চাপ রাখা অত্যন্ত জরুরি যা বাংলাদেশ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা পরিষদ প্রথম বিবৃতি দিয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ভূমিকা রয়েছে বলে কফি আনান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ওই আলোচনায় চীন ও জাপান রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত যাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সহিংসতা বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
কেজেড/জেডএম