জানা যায়, বন্যায় ১৭ আগস্ট ব্রিজটি ধসে পড়ে। সংস্কার না হওয়ায় দুই মাস ধরে পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ও আমাইড় এবং ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর, ইসবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অনেক পথ ঘুরে নওগাঁ শহর ও ধামইরহাট উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী বাংলানিউজকে জানান, বাশেঁর তৈরি সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, ভ্যান ও মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে। মানুষ এবং ছোট যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সেটিও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় এখন ২০ কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরে পত্মীতলার নজিপুর হয়ে ধামইরহাট উপজেলা সদর ও নওগাঁ শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে সময় লাগে বেশি আবার ভাড়াও দিতে হয় বেশি।
পত্মীতলার আমাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল বাংলানিউজকে জানান, ব্রিজটির মেরামত না করায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকার মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজটি মেরামতের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির ব্রিজটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী আলী হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বন্যার কারণে ভেঙে যাওয়া ব্রিজটি মেরামতের জন্য রাজশাহী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা সেতুটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিজটির কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ