বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে খালেদার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো রাস্তা জুড়ে খালেদা জিয়াকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে দলটি।
দুপুর তিনটার পর থেকেই সরেজমিনে দেখা যায়, বিমানবন্দরের সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাজোয়া যান, জলকামান ও প্রিজম ভ্যান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে কাউকে রাস্তায় না দাঁড়াতে মাইকিং করতে দেখা গেছে। রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি ট্রাফিক পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় এপিবিএনের বাড়তি সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারিক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়া ভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে বের হবেন। বিএনপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী চারজনকে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় এপিবিএনের বাড়তি সদস্য মোতায়েনসহ যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপির বিমানবন্দর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রুহুল আমিন সাগর বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া আসবেন, চলে যাবেন, রাস্তা বন্ধ করতে দেওয়া হবে না। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানালে জানাক, কিন্তু রাস্তায় কাউকে নামতে দেওয়া হবে না। এছাড়া, বিশৃঙ্খলা করার চেষ্ট করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপি ট্রাফিকের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায় বলেন, খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে রাস্তা যেন সচল থাকে সেজন্য বাড়তি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো সড়কেই ট্রাফিকের বাড়তি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মানুষের যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/