বুধবার (১৮ অক্টোবর) ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি মো. হেলালকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।
হুমায়ূন কবির বাংলানিউজকে জানান, তরুণী বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতে দোহার উপজেলার ফুলতলা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লিপেন দাসের ছেলে বিশ্বজিৎকে (২৫) প্রধান আসামি করে তিন জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শ্রীনগর থানা পুলিশকে মামলা রেকর্ড করে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। মামলায় অপর আসামি হলেন একই এলাকার ব্রজেন করের ছেলে বাবুল কর (২৮)।
সকালে ওই তরুণীর সৎ মামা ও মামলার তিন নম্বর আসামি মো. হেলালকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার শিকার তরুণীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই যুবতীকে ফাঁকা বাড়িতে পেয়ে কৌশলে ঘরে ঢুকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা ফাঁস না করার জন্য নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। পরে ওই তরুণী শ্রীনগর থানায় ভয়ভীতির কথা উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করলেও গণধর্ষণের বিষয়টি চেপে যায়। ওই যুবতীর পরিবার অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি দালাল চক্র তাদের থানায় ধর্ষণের মামলা করা থেকে বিরত রাখে। পরে নিরুপায় হয়ে তারা আদালতের আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ