বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাবুরাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুরের হোসাইনি নগর এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজে জোড়া খুনের ঘটনার এজাহারভুক্ত ১৯ নম্বর আসামি আবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, ১২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুরে হোসাইনি নগর এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজে কুপিয়ে তুহিন হাওলাদার মিল্টন (৪০) ও পারভেজ আহমেদ (৩৫) নামে দুইজনকে হত্যা করা হয়।
পরে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় মামলা না করলে শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-এক নম্বর বাবুরাইলের শুক্কুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহাঙ্গীর বেপারী (৪০), ১ নম্বর বাবুরাইল তারা মসজিদ এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে বাপ্পী (২৮), রবিন (৩০), রকি (২৮), ভূইয়াপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে আমান (৩২), বাবুরাইল শেষমাথা এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে শহিদ (৩০), বাবুরাইল তারা মসজিদ এলাকার আসলাম (৫০), বাবুরাইল ঋষিপাড়া এলাকার মৃত জাকিরের ছেলে মাহাবুব (৩০), বিএনপি নেতা হাসান আহমেদের ভাতিজা শিপলু (৩০) ও রাসেল (৩৩), বাবুরাইল এলাকার মুক্তা (২৮), পাইকপাড়া জিমখানা ডিমের দোকান এলাকার শরীফ (৩৩), বাবুরাইলের রানা (২৮), বাবুরাইলের কিরণ (৩০), মানিক (৩০), বাবুরাইলের আবদুল মান্নানের ছেলে ফয়সাল (২৬), বন্দর এলাকার রাব্বি (৩০), ১ নম্বর বাবুরাইলের নিলু সরদারের ছেলে সোহাগ (৩২), বাবুরাইল শেষমাথা এলাকার রাকিব (২৭), বাবুরাইল ঋষিপাড়া এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে রাজন (৩০), বাবুরাইল এলাকার রিকশা আবুল (৩৫), একই এলাকার ফরহাদ (৫২) সহ অজ্ঞাত আরও ১২৫ জন।
এ দিকে, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জোড়া খুনের ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামি রাকিবকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে কাশিপুর খিল মার্কেট এলাকা থেকে মামলার ১০ নম্বর আসামি মো. মোজাম্মেল হক রাজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
আরআইএস/