বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খাইরুল আমিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে রোমহর্ষক বর্ণনা দেন এনাম।
তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার বারোঠাকুরী ইউনিয়নের ছালেহপুর গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল তার বয়সে ছোট বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন এনাম। বাড়ির পাশে প্রতিদিন মাছ ধরার উপকরণ ডরি পাততেন তিনি। কিন্তু মাছ পেতেন না। ঘটনার দিন শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৬টায় খালের পাড়ে সাইফুলকে পান এনাম। তখন ডরিতে মাছ না পাওয়া নিয়ে তর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে কুস্তি ধরে খালে পড়ে যান সাইফুল।
তখন সাইফুলের বুকের ওপর উঠে গলা চেপে ধরে মাথা নরম কাদায় ঢুকিয়ে অণ্ডকোষে চাপ দেন এনাম। এক পর্যায়ে সাইফুলের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। সাইফুল মারা গেছেন বুঝতে পেরে মরদেহ কাদা-মাটিতে ঢুকিয়ে দেন এনাম।
ঘটনাস্থল থেকে আসার পথে পাশের বাড়ির স্থানীয় যুবক রেজাউল তাকে দেখে ফেলে বলেও জানান এনাম। তখন তিনি রেজাউলকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি যে ওখানে কাদা মাখছি, কাউকে বললে তোকে মেরে ফেলবো’। এরপর ভয়ে মুখ খোলেননি রেজাউল।
সাইফুলের নামাজে জানাজার পর মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে পুলিশ তাকে ধরে আনলে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এনাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) ইমরুজ তারেক বলেন, ‘এনামকে আটকের পর প্রথমে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেননি। এক পর্যায়ে স্বীকার করে কিভাবে চাচাতো ভাই সাইফুলকে হত্যা করেছেন, তার বর্ণনা দেন। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করি। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে’।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে নিখোঁজ হন কলেজছাত্র সাইফুল। দু’দিন পর সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাড়ির পাশের খালে কাদা-মাটিতে চাপা দেওয়া অবস্থায় সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এনইউ/এএসআর