এদিকে গত ২৫ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৪০ জন রোহিঙ্গা। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬১ হাজার ৫১৬ জন এসেছেন একা বা স্বতন্ত্রভাবে।
আইওএম বলছে, রোহিঙ্গার ৫১ শতাংশই নারী। বাকি ৪০ শতাংশ পুরুষ। পুরুষদের মধ্যে এক বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা চার শতাংশ, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সীর সংখ্যা ১১ শতাংশ, ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সীর সংখ্যা ১৪ শতাংশ, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১৮ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রোহিঙ্গা পুরুষের সংখ্যা দুই শতাংশ।
৫১ শতাংশ রোহিঙ্গা নারীর মধ্যে এক বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে শতকরা পাঁচ শতাংশ, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১০ শতাংশ, ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১৪ শতাংশ, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১৯ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি রোহিঙ্গা নারীর সংখ্যা তিন শতাংশ।
বাংলাদেশে আসা মোট রোহিঙ্গার মধ্যে এক বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে শতকরা নয় শতাংশ, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২১ শতাংশ, ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা ৩৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পাঁচ শতাংশ।
আশ্রয়কেন্দ্র’র অবস্থা
এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি নতুন অস্থায়ী ক্যাম্প। তিনটি পুরোনো নিবন্ধিত ক্যাম্প, দুটি পুরোনো নিবন্ধিত শরণার্থী শিবির, একটি স্থানীয় জমিতে গড়া ক্যাম্প। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ১১টি ক্যাম্প তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এসব ক্যাম্পের কয়েকটিতেই কেবল ছোট ও মাঝারি ধরনের গাড়িতে করে মালামাল নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এসব ক্যাম্পের জমির ৮৯ শতাংশের মালিক বাংলাদেশ সরকার।
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের ৬৮ শতাংশ এরইমধ্যে ক্যাম্প এলাকায় কাঁচাঘর ও ঝুপড়ি তুলতে সক্ষম হয়েছে এবং তারা নিয়মিত ত্রাণের আওতায় এসেছে। ক্যাম্পগুলোর ৬৮ শতাংশের ত্রাণ বিতরণের কাজ করছে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। ৩২ শতাংশ ত্রাণের কাজ করছে সেনাবাহিনী।
লাখ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে শতকরা ২৯ জন মশারি, ২৮ জন কম্বল ও ১৬ জন বিছানা করার জন্য ম্যাট পেয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ শতাংশ রোহিঙ্গা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের মধ্যে এসেছে।
খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশে আসা এসব লাখ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে বিতরণ করা খাদ্যের ৭৪ শতাংশই জাতিসংঘ ও অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থা সরবরাহ করছে। যার ৪৮ শতাংশই আবার স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহীত। রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত জ্বালানির ৪০ শতাংশের জোগান দিচ্ছে স্থানীয় বনভূমি এবং ৩৯ শতাংশ বাজার থেকে সংগ্রহ করা। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো রোহিঙ্গারা তাদের নিত্য কাজে বন-গাছপালা কাটছে। তাদের দৈনিক জ্বালানিতে বড় অংশের গাছপালা রোজই কাটা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
আরএম/আইএ