বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় বাউল সম্রাট লালন শাহের ১২৭তম তিরোধান দিবসে তিনদিনের স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. হারুনুর রশীদ আসকারী বলেন, ‘মানবতাবাদী, সংস্কারবাদী ও আধ্যাত্মিকতা- এ তিনের সংমিশ্রণ লালন ফকির।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, কুষ্টিয়াবাসীর পাশাপাশি লালনকে আজ সমগ্র বাংলা ও বিশ্ব হৃদয়ে পুষে রেখেছে! বর্তমানে সার্বজনীননতার নাম লালন। যাদের আত্ম-দর্শন ঘটেছে, তাদের কাছে মানুষ ও স্রষ্টা প্রায় একই। লালন সে দর্শন পেয়েছেন, তার আঙ্গিকে সমাজকে বদলাতে চেয়েছেন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলম আরা জুই বলেন, নিগূঢ় তত্ত্ব অনুধাবন লালনের গানের মূল বিষয়। লালন শাহ ধর্ম, মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার বিভিন্ন বিষয় তার গানে তুলে ধরেছেন। যা যুগে যুগে বাংলার বাউল সমাজসহ বিভিন্ন মানুষের কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে আছে।
কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, লালন ধর্ম-বর্ণের সর্বোচ্চ আসনে উঠে মানবতার কথা বলেছেন। তার মতো করে এমন বাণী পৃথিবীতে খুব কম মানুষই বহন করেছেন।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশীদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বাউল-ফকিরদের মধ্যে লালন শীর্ষে। তার অবস্থান আজ বিশ্বময়। কুষ্টিয়ার লালন সব সময়ই যুগান্তকারী নাম।
তিন দিনব্যাপী স্মরণোৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. জহির রায়হান।
তিনি বলেন, লালনকে মানুষ কতোটা ভালোবাসেন, তা জানার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে এ স্মরণোৎসব। জনমানুষের এ আয়োজন ও বাউলদের তীর্থভূমিতে তীর্থ সাধন আগামীতে যেন আরো সুন্দরভাবে অব্যহত থাকে, সে প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) শুরু হয় বাউল সাধকদের এ তীর্থ উৎসব। এটি তাদের সমাজকে বদলানো, সাঁইজিকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ আর বাউলতত্ত্বে দীক্ষা গ্রহণেরও উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘন্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এইচএমএস/এএসআর