বুধবার (১৮ অক্টোবর) দিনগত রাত দশটার দিকে আশুলিয়ার কবিরপুর দেওয়ানপাড়া বাংলাদেশ বেতারের সীমানার পাশের একটি জঙ্গল থেকে মাটি খনন করে সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাবিনা গাইবান্ধা সদর জেলার রগুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে।
আটককৃতরা হলেন- কবিরপুর দেওয়ানপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মুসলেম ও তার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম জানান, পাচঁদিন আগে সাবিনা মুসলেমের বাড়িতে ঋণের টাকা উত্তোলনের জন্য যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। পরে আশা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। এরপর থেকে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সাবিনার সবশেষ অবস্থান মুসলেমের বাড়িতে পাওয়া যায়।
মুসলেম ও তার স্ত্রীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা খুনের বিষয়টি স্বীকার করে। পরে তাদের নিয়ে বুধবার রাতে একটি পরিত্যক্ত জমি খনন করে সাবিনার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত কয়েকমাস আগে আশা ফাউন্ডেশন থেকে ৯৮ হাজার টাকা ঋণ নেয় মুসলেম। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয় সাবিনা। পাচঁদিন আগে সাবিনা টাকা উত্তোলনের জন্য গেলে পরিকল্পিতভাবে মুসলেম ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজন গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ড্রামের ভেতরে মরদেহ ভরে রাখে। এরপর মাঝ রাতে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের একটি পরিত্যক্ত জমিতে সাবিনার মরদেহ পুঁতে রাখে।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে হত্যার পর সাবিনার কাছে ঋণের উত্তোলনের প্রায় ২ লাখ টাকাও তারা লুট করে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
জেডএস