বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে লিপু চত্বরের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় তদন্ত কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আবাসিক হলের ভেতরে লিপুকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এখনও চুপ। এখনও হত্যার কোনো মোটিভ বা কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি। ’ এসময় দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘লিপু হত্যার তিন মাসে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই তাদের হাতে এসেছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর মধ্যে এক বছর হয়ে গেছে, দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি আমরা পেলাম না। ’
এদিকে, লিপুর চাচা মো. বশীর উদ্দিন বলেন, ‘লিপুর মৃত্যুর তিনদিন পর একবার এসে কথা বলে লেখালেখি করে নিয়ে গেছে পুলিশ। আর আসেনি বা কিছু জানায়নিও। ’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আমাদের তৎপরতা চলছে, একটু সময় লাগবে। আশা করা যায়, দ্রুত ভালো কিছু জানাতে পারবো। ’
২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন বিকেলে লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মরদেহ উদ্ধারের দিন লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়। তিনদিন পর হত্যা মামলায় মনিরুলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। কিন্তু ৮ নভেম্বর জজ কোর্ট থেকে মনিরুল জামিন পান। জামিনের আগে মনিরুলকে চারদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তভার পান মতিহার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব হাসান। সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
টিএ